কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন ঝুমা?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১১:৫৪

বড়লেখা ইনসাইডার প্রতিবেদন:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝুমা রাণী দাস নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহের পাশে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে, যা তিনি স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লিখে গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
চিরকুটে ঝুমা রাণী দাস তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘প্রিয় স্বামী, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি নিজেই দায়ি। আমার স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। আমার কলিজার টুকরা রাধিকাকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। আমার বিশ্বাস তুমি রাধিকার মা, বাবা দুটোই হতে পারবে। আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।’
প্রতিবেশিরা জানান, ঝুমার স্বামী রূপক চন্দ্র দাস ফ্রান্সে থাকেন। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন। পরিবারে তাদের এক সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে ঝুমার স্বামী পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। অসুস্থ থাকায় ঝুমা রাণী দাস বাড়িতে থেকে যান। ঘটনার দিন বিকেল ঝুমার জ্যা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে তিনি ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখেন ঝুমা সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। এসময় তিনি চিৎকার দেন। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঝুমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। পিএম রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে।



